সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশে দেরির কারণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার চার মাস অতিবাহিত হলেও, এখনো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ফল প্রকাশ করতে পারেনি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফল প্রকাশের মূল বাধা হচ্ছে কোটার জটিলতা।
কোটার ধোঁয়াশা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী পুরোনো কোটার নিয়মে নিয়োগ হবে, নাকি নতুন কোটা নীতি অনুসরণ করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে, এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চেয়েছে। কিন্তু এখনো সেই মতামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, "কোন পদ্ধতিতে প্রাথমিকের নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, তা জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যাখ্যা আসেনি। ফলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে বিলম্ব হচ্ছে।"
তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী। লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ২২ এপ্রিল। মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয় ২৯ মার্চ, যেখানে জেলা পর্যায়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রকাশিত হয়, এবং এর পরপরই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু চূড়ান্ত ফল প্রকাশে কোটার ধোঁয়াশার কারণে বিলম্ব ঘটছে।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
কোন নিয়মে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তা নির্ভর করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্মকর্তারা আশা করছেন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে এবং ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আরও কিছুদিন স্থগিত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে কাজ করে যাচ্ছে।