ভূল সংশোধন করা করা জরুরী। সেটা হতে পারে যেকোনো ভূল। তবে আজকে আমরা জানবো ভোটার আইডি কার্ড এর ভূল সংশোধন করা যায় কিভাবে। আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসেই এই কাজ করতে পারেন।
মানে অনলাইনেআপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তবে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে এই কাজটি করতে হবে। তো আজকে আমি আপনাকে সেই বিষয় আমি যতটুকু জানি তা শেয়ার করবো। আর আপনি ঘরে বসেই সেটা করে নিতে পারবেন। কার্ড এর ভূল সংশোধন
আইডি কার্ডের নাম ভূল হলে কিভাবে সংশোধন করবো
আইডি কার্ডে নাম ভূল এই সমস্যা শুধু আপনার নয় । নামের বানান বা পিতা মাতার নাম ভূল এই সমস্যা রয়েছে মেলা জনগনের। তো আজ আমারা কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করবো সেই বিষয় জানবো ধারাবাহিক। প্রথমেই নিজের নামের ভূল সংশোধন জানি। প্রথমেই বলে রাখি নাম পরিবর্তন বা সংশোধন তথা ভোটার আইডি কার্ড এর ভূল সংশোধন এতটা সহজ নয় যতটা এখন মনে করছেন। কার্ড এর ভূল সংশোধন
কি কি লাগবে নিজের নামের ভূল সংশোধনের জন্য
সাধারণত আমাদের ভোটার আইডি প্রস্তুত হ্ওয়ার পূর্বে অনেক যাচাই বাচাই হয়েছে। এরপরেও যদি আপনার নিজের নাম ভূল মনে হয় । তবে আপনাকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে আপনার নাম ভূল। কারণ ইতিপূর্বে অনেক যাচাই করে কিন্তু আপনার নাম দেয়া হয়েছে। নিজের নাম পরিবর্তন করতে যে সকল ডকুমেন্ট লাগতে পারে আমি নিচে বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছি । ভোটার আইডি কার্ড এর ভূল সংশোধন করতে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডকুমেন্ট।
১। আপানার জন্ম নিবন্ধন কার্ড
আপনার ভোটর আইডিকার্ড এর নাম ভূল প্রমাণ করার জন্য প্রথমেই আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড প্রয়োজন পরবে। কারণ সরকার কর্তৃক এটা আপনার প্রথম সার্টিফিকেট। আর এই কার্ড অনুযায়ী আপনার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হয়েছে।
২। আপনার স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট
নিজের নামের ভূল সংশোধনের জন্য স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট গুরুত্বপূন্য একটি বিষয় বটে। কারণ এই সার্টিফিকেট তৈরি হবার আগে অনেকবার নিজে দেখেছেন এবং স্কুলে আপনার নাম কিন্তু জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী লেখা হয়েছে। কার্ড এর ভূল সংশোধন তাই আপনার লেখা-পড়ার সার্টিফিকেট আপনার নাম সংশোধনে কাজে আসতে পারে। ভোটার আইডি কার্ড এর ভূল সংশোধন করা জন্য আপনাকে সেটা শো করতে হবে।
৩। টিকার কার্ড
আমাদের জন্মের পর কোনো ঝামেলা ছাড়াই এই একটি কার্ড আমরা পেয়ে থাকি। এই কার্ডে না আমরা দুর্নিতি করি না যারা কার্ড প্রদান করে তারা করে। কারণ আমরা তখন মাত্র জন্মেছি। কোন রকম একটা নাম হলেই হলো। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা অনেকেই বাবা মায়ের দেয়া পরিবর্তন করে নিজের পচন্দের নাম রাখি। তাই ভোটার আইডি কার্ড এর নাম সংশোধনের জন্য এটা অতি গুরুত্ব পূণ্য।
জন্ম তারিখ ভূল হলে কিভাবে ঠিক করবো
জন্ম তারিখ ভূল হওয়া এখানে একটা কথা । সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুতকারীর থেকে বেশি আমারা দায়ী এই ভূলের জায়গায়। কারণ আমরা কেউ এমন আছি ভোটার হওয়ার বয়স হয় নাই তারপরেও ভোটার আইডি কার্ড বানানোর জন্য নিজের বয়স বাড়িয়ে নিয়েছি।
আবার এর উল্টোও হয়ে থাকে ত্রিশ বছর বয়সে এসে ভোটার আইডি কার্ডে বাইশ বছরের যুবক হয়ে যান। এবার মূলকথায় আসি। এই ভূল সংশোধনের জন্য ও একি নিয়ম। প্রথমে প্রমাণ করতে হবে। আর প্রমাণ করার জন্য উপরে আলোচনা করা ডকুমেন্ট গুলো দেখাতে পারেন। কার্ড এর ভূল সংশোধন
পিতা মাতার নাম ভূল হলে করনীয় কি
যদি ভোটার আইডি কার্ডে পিতা মাতার নামে ভূল হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পিতা মাতার আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। যদি সেখানে ও ভূল থাকে তবে প্রথমে পিতা মাতার ভোটার আইডি কার্ড ঠিক করতে হবে। আর পিতা মাতার কার্ড ঠিক করার জন্য আপনাকে একি নিয়ম মানতে হবে। প্রথমেপ্রমানকরবেনপরেসংশোধনহবে।
গ্রাম বা ঠিকানা ভূল হলে কিভাবে সংশোধন করবো
প্রায় সময় এই একটি ভূল হয় । নিজের গ্রামের নাম বা অন্যান্য ঠিকানা যেমন ডাক, উপজেলা ইত্যাদি । এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য আপনি আপনার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন কিংবা নাগরিক সনদ কিংবা চেয়াম্যান কর্তৃক সত্যায়িত যে প্রস্তয়ন পত্র ধারা এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। যে কোনো কার্ড এর ভূল সংশোধন এর সময় এই কাগজ গুলো দরকার পড়বে।
মূলকথা হলো ভোটার আইডি কার্ডের যেকোনো ভূল সংশোধন করা যায় । তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে। আর যেভূল আপনি সংশোধন করতে চাইবেন প্রথমেই নির্বাচন কমিশনকে এটা প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা ভূল করেছেন। এর জন্য উপরে আলোচিত ডকুমেন্ট গুলো লাগতে পারে।
শেষকথা
ভোটার আইডি বলেন আর এন আইডি কিংবা জাতীয় পরিচয় পত্র, যাহাই বলেন। ভূল সংশোধন করা সম্ভব তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে । নির্ধারিত ডকুমেন্ট ধারা প্রমানিত হওয়ার পরে। তাছাড়া অনলানে এই সুবিধা দেয়ার কারণ হলো যাতে নাগরিক ঘরে বসে তার যে কোনো তথ্য আপডেট করতে পারে। কার্ড এর ভূল সংশোধন