প্রায় প্রত্যেকটি শিশুরই ঘর আকর্ষণীয় হওয়া চাই এবং নিজের ঘর থেকে একটু
আলাদা হতেই হয়। বাচ্চাদের ঘর সাজাতে হবে খুব পরিপাটি করে। আমরা সবাই জানি
বাচ্চাদের ঘর স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশিই নোংরা এবং এলোমেলো হয়। তাই
তাদের ঘর হতে হবে একটু আলাদা রকম এবং কেয়ারফুল ডেকোরেশন সম্পন্ন।
তাই আজকের এই পোস্টে আমরা দেখবো বাচ্চাদের ঘরের দেয়াল এবং আসবাবপত্র কিভাবে সাজাবেন।
১. ঘর হতে হবে রঙিন
শিশুদের ঘরে সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে রঙের পরিপাটি ব্যবহার। যেকোনো
উজ্জ্বল রং যেমন নীল লাল সবুজ হলুদ ব্যবহার করতে পারেন বাচ্চাদের দেয়ালে।
তাদের ফার্নিচার ও করতে পারেন এই ধরনের মানানসই রং। অন্যান্য জিনিসপত্রে
থাকবে রঙ্গিন রংয়ের ছোঁয়া।
২. দেয়ালের সাজ সজ্জা
যেকোনো ঘরে প্রবেশ করলে প্রথমে যা চোখে পড়ে তা হচ্ছে ঘরের দেয়াল। আপনার
সন্তানের পছন্দের কার্টুন এবং তার পছন্দের রং দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন
তার ঘরের প্রতিটি দেয়াল।
৩. ঘরের পর্দা
শিশুদের ঘরের দরজা-জানালার পর্দার ক্ষেত্রে যতটা
সম্ভব খুব হালকা রং ব্যবহার করতে পারেন। পর্দা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে
খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যেন খুব সহজে আলো বাতাস আসা যাওয়া করতে পারে।
৪. আপনার সন্তানের আসবাবপত্র
প্রথমেই যে বিষয়টি বলেছিলাম শিশুর ঘরে আসবাবপত্র হতে হবে উজ্জ্বল রঙের।
শিশুদের জন্য আসবাবপত্র অনেকটা খেলার সামগ্রী মত তাই অপ্রয়োজনীয়
ফার্নিচার গুলো গুছিয়ে রাখুন এবং তাদেরকে এমন ফার্নিচার দেন যা মজার
কার্টুন এবং রঙ্গিন হয় পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখুন যেন খুব সহজেই সেগুলো
পরিষ্কার করা যায়। এক্ষেত্রে খুবই ভালো হয় মেলামাইন বোর্ডের ফার্নিচার।
৫. শিশুদের বিছানার চাদর
বিছানা আরামদায়ক না হলে শিশুর ঘুম ভালোভাবে হবে না এবং শিশুটি সবসময়
মেজাজ খিটখিটে করে রাখবে। বিছানার চাদর নির্বাচনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে
হবে রং এবং আরামদায়ক হচ্ছে কিনা। শিশুদের পছন্দের কার্টুন এবং রং বিছানার
চাদর নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হবে।
৬. ঘরের ভেতর খেলার জায়গা
আপনার সন্তানের ঘরের ভেতর একপাশে এমন একটি জগৎ তৈরি করুন যেখানে শিশুদের
খেলার সামগ্রী দিয়ে ভরপুর থাকে। একটি মাদুর বিছিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলার
সামগ্রী রাখতে পারেন যেখানে বসে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে।
৭. ঘরের ভিতর গাছ
যদি সম্ভব হয় শিশুদের ঘরে কিছু ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। রুমের ভেতর কি
ধরনের গাছ মানানসই হবে তার জন্য আপনি গুগল সার্চ দিয়ে বের করতে পারেন।
৮. ছোট্ট একটি লাইব্রেরী
আপনার সন্তানকে তার পছন্দের কার্টুন বই, ম্যাগাজিন, ছড়া, কবিতা ইত্যাদি
দিয়ে একটি ছোট লাইব্রেরী তৈরি করে দিন। এতে করে ছোটকাল থেকেই তার
পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে।
৯. আলো বাতাস
আপনার সন্তানের ঘর নির্বাচনের ক্ষেত্রে আলো বাতাসকে প্রাধান্য দিন। ঘরের
ভেতর যাতে সরাসরি সূর্যের আলো আসে তা বিবেচনা করুন। রাতে ঘরের ভিতর রঙ্গিন
আলোর পাশাপাশি পারফেক্ট হোয়াইট কালার লাইট রাখা খুবই প্রয়োজন।
১০. স্টোরেজ সুবিধা
আপনার সন্তানের জামা কাপড় এবং তার প্রয়োজনীয় জিনিস সুনির্দিষ্ট ভাবে
রাখার জন্য একটি ওয়ারড্রব অথবা মাল্টি পকেট অর্গানাইজার এর ব্যবস্থা করুন।
আপনার সন্তানকে ছোটকাল থেকেই শিখান কাজের পর এবং খেলাধুলার পর প্রতিটা
জিনিস যেন গুছিয়ে রাখে।