বাংলাদেশ সরকার সাধারণত তিন ধরনের পাসপোর্ট তার নাগরিকদের দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে মুলেট, যা একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট; নীল মালাট, সরকারী পাসপোর্ট; এবং সবুজ মালাট, যা একটি সাধারণ বা অ-পাবলিক পাসপোর্ট। বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১১৯তম। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের মানুষ বা নাগরিকরা নিয়মিত পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
১০ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? বিস্তারিত ফি ও তথ্য ২০২৪
বাংলাদেশের পাসপোর্টের প্রকারভেদ
বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করে:
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট (মুলেট)
- সরকারি পাসপোর্ট (নীল মালাট)
- সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মালাট)
বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১১৯তম হলেও বেশিরভাগ নাগরিক সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন।
১০ বছরের মেয়াদি পাসপোর্টের প্রকারভেদ
নাগরিকরা ১০-বছরের এবং ৫-বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন, যা ৪৮-পৃষ্ঠা এবং ৬৪-পৃষ্ঠার হতে পারে।
১০ বছরের পাসপোর্ট পেতে কত খরচ হয়?
১০ বছরের পাসপোর্টের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে তিনটি বিভাগ অনুযায়ী:
- সাধারণ পাসপোর্ট
- জরুরী পাসপোর্ট
- সুপার জরুরী পাসপোর্ট
প্রতিটি পাসপোর্ট প্রস্তুতির জন্য ২১ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। জরুরী পাসপোর্ট ১০ কার্যদিবসে এবং সুপার জরুরী পাসপোর্ট ২ কার্যদিবসে প্রস্তুত করা হয়।
১০ বছরের ই-পাসপোর্ট ফি ২০২৪
১০ বছরের পাসপোর্টের ফি প্রকারভেদে নির্ধারণ করা হয়েছে:
৪৮-পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:
- সাধারণ: ৫৭৫০ টাকা
- জরুরী: ৮০৫০ টাকা
- সুপার জরুরী: ১০৩৫০ টাকা
৬৪-পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:
- সাধারণ: ৮০৫০ টাকা
- জরুরী: ১০৩৫০ টাকা
- সুপার জরুরী: ১৩৮০০ টাকা
১০ বছরের মেয়াদ সহ ৪৮-পৃষ্ঠার পাসপোর্টের ফি
- সাধারণ পাসপোর্ট: ৫৭৫০ টাকা
- জরুরী পাসপোর্ট: ৮০৫০ টাকা
- সুপার জরুরী পাসপোর্ট: ১০৩৫০ টাকা
১০ বছরের মেয়াদ সহ ৬৪-পৃষ্ঠার পাসপোর্টের ফি
- সাধারণ পাসপোর্ট: ৮০৫০ টাকা
- জরুরী পাসপোর্ট: ১০৩৫০ টাকা
- সুপার জরুরী পাসপোর্ট: ১৩৮০০ টাকা
শেষ কথা
আশা করি এই আলোচনা থেকে আপনি ১০ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে কত টাকার প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। পাঁচ বছরের পাসপোর্টের ফি সম্পর্কেও সংক্ষেপে জানানো হয়েছে। যদি এই নিবন্ধটি আপনার উপকারী মনে হয়, তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।