কলা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর কলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। পাকা কলা ফল হিসেবে যেমন পরিচিত, তেমনি কাঁচা কলা সবজি হিসেবেও জনপ্রিয়। কাঁচা কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এবং কেন এটি আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ওজন কমাতে সহায়ক
কাঁচা কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ওজন কমানো সহজ হয়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে
কাঁচা কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস
কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে
কাঁচা কলা পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। এটি খুব সহজে হজম হয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো।
ডায়রিয়ায় উপকারী
কাঁচা কলায় এনজাইম থাকে, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করতে সহায়তা করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কাঁচা কলার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং আপনার খাদ্য তালিকায় আজই অন্তর্ভুক্ত করুন।