বিসিএস পরীক্ষার নীতিমালায় বড় পরিবর্তন: বছরে একটি বিসিএস কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্যোগ
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বছরে একটি বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করতে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। নতুন নিয়মে পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর ক্রমানুসারে লিখতে হবে এবং পরীক্ষকদের পিএসসি কার্যালয়ে বসেই খাতা মূল্যায়ন করতে হবে।
পরিবর্তনের মূল কারণ
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অধিক সময় ব্যয় হওয়া এবং পরীক্ষার্থীদের উত্তর ক্রমানুসারে না থাকার কারণে এই সমস্যাগুলি দেখা দিয়েছে।
নতুন নিয়মাবলী
লিখিত পরীক্ষায় ক্রমানুসারে উত্তর লিখতে হবে: ৪৬তম বিসিএস থেকে প্রশ্নের ক্রমানুসারে খাতায় উত্তর লেখার বাধ্যবাধকতা রাখা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা চাইলে অন্য প্রশ্নের উত্তর আগে লিখতে পারবেন, তবে তাদের ক্রমানুসারে জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।
খাতা মূল্যায়নের নির্দিষ্ট পদ্ধতি: পিএসসি কার্যালয়ে বসেই পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়ন করতে হবে। একেকটি দলে ১৩-১৪ জন জনবল থাকবেন, এবং একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেখার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষক থাকবেন। গণিত ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর এবং বর্ণনামূলক প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরের গঠন দেওয়া হবে।
নতুন পদ্ধতির সুবিধা
এই নতুন পদ্ধতি চালু হলে খাতা দেখার মান বৃদ্ধি পাবে এবং সময়ও বাঁচবে। একেকজন পরীক্ষক একেকভাবে দেখার সুযোগও পাবেন না। এতে করে এক বছরে একটি বিসিএস কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেছেন, "মূল্যায়নে নতুন পদ্ধতি চালু হলে খাতা দেখার মান বৃদ্ধি পাবে; একই সাথে সময়ও বাঁচবে। সব মিলিয়ে এক বছরে একটি বিসিএস কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।"
এই নতুন নীতিমালা বিসিএস পরীক্ষাকে আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে সাহায্য করবে।