অ্যান্ড্রয়েডের তথ্য সংরক্ষণের জন্য শীর্ষ ১০টি অ্যাপ

Avatar

Published on:

অ্যান্ড্রয়েডের তথ্য সংরক্ষণের জন্য শীর্ষ ১০টি অ্যাপ

অ্যান্ড্রয়েডের ডাটা ব্যাকআপের জন্য শীর্ষ ১০ অ্যাপ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারানোর ঝুঁকি

প্রযুক্তিগত নানা কারণে ডিভাইসে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেকোনো সময় হারিয়ে যেতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে ডাটা ব্যাকআপ একটি ভালো বিকল্প। এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সাধারণত ব্যাকআপ অ্যাপ্লিকেশন বা বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে থাকেন। গুগলও বিনামূল্যে স্মার্টফোনের ডাটা ব্যাকআপ অ্যাপ চালুর পরিকল্পনা করছে।

অ্যান্ড্রয়েডের শীর্ষ ১০ ডাটা ব্যাকআপ অ্যাপ

১. অ্যামাজন ফটোজ

ছবি ব্যাকআপ রাখার জন্য অ্যামাজন ফটোজ নির্ভরযোগ্য। অ্যামাজনের প্রাইম ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে যেকোনো রেজল্যুশনের ছবি সংরক্ষণ করতে পারেন। ভিডিও ফাইল ব্যাকআপের জন্য অতিরিক্ত ৫ গিগাবাইট (জিবি) স্টোরেজও রয়েছে।

২. অটোসিঙ্ক

অটোসিঙ্ক মেটাকন্ট্রোলের ব্যাকআপ সিরিজের অ্যাপ। এতে ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ, ওয়ানড্রাইভ, বক্স ও মেগার মতো ক্লাউড স্টোরেজ পাওয়া যায়। প্রতিটি ব্যবহারকারীদের স্বয়ংক্রিয় ডাটা ব্যাকআপের সুবিধা দেয়।

৩. জি-ক্লাউড

জি-ক্লাউড ডিভাইসের লেখা মেসেজ, কন্টাক্ট, ছবি, ভিডিও, গান, ডকুমেন্ট, কল লগস প্রভৃতি ব্যাকআপ রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এটি ১ জিবি পর্যন্ত ফ্রি স্টোরেজ দিয়ে থাকে এবং ৩.৯৯ ডলারে আনলিমিটেড স্টোরেজ ব্যবহারের সুবিধা দেয়।

৪. পি-ক্লাউড

পি-ক্লাউডে ১০ জিবি ফ্রি স্টোরেজকে ১০ টেরাবাইট (টিবি) পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ব্যবহারকারীরা স্বয়ংক্রিয় এবং এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপের সুবিধাও পাবেন। এতে বিল্ট-ইন অডিও ও ভিডিও প্লেয়ার রয়েছে।

৫. পালস এসএমএস

পালস এসএমএস নিরবচ্ছিন্নভাবে সব ধরনের টেক্সট মেসেজ ব্যাকআপ করতে পারে। ব্যবহারকারী অন্য ডিভাইসে লগ-ইন করলে সহজেই ব্যাকআপকৃত মেসেজ বা কথোপকথন রিস্টোর করতে পারেন।

৬. রেজিলিও সিঙ্ক

প্রাইভেসি নিয়ে সচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য রেজিলিও সিঙ্ক ভালো বিকল্প। এটি রিমোট সার্ভারের পরিবর্তে ব্যবহারকারীর ডিভাইসেই ডাটা ব্যাকআপ করে।

৭. সলিড এক্সপ্লোরার

সলিড এক্সপ্লোরার ফাইল ব্রাউজার এবং ব্যাকআপ অ্যাপ হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি বিভিন্ন ক্লাউড স্টোরেজ এবং মাইক্রোএসডি কার্ডের সঙ্গে কাজ করে।

৮. সুইফট ব্যাকআপ

সুইফট ব্যাকআপ নতুন হলেও ব্যবহারকারীদের নানা সুবিধা দেয়। এটি রুটেট এবং নন-রুটেড উভয় ডিভাইসের জন্য কাজ করে।

৯. ম্যানুয়াল ব্যাকআপ

ব্যবহারকারীরা তাদের তথ্য কম্পিউটারেও ব্যাকআপ করতে পারেন। যেমন স্মার্টফোন পরিবর্তন করলে এসডি কার্ড বা কেবলের মাধ্যমে তথ্য কম্পিউটারে সরিয়ে নিতে পারেন।

১০. ক্লাউড সার্ভিস

গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরা হিস্ট্রি, বুকমার্ক, লগইন ইনফরমেশন ব্যাকআপ করতে পারেন। পডকাস্টের তথ্য ব্যাকআপ করতে পারে পকেট ক্যাটস। ড্রপবক্স, গুগল ফটোজ, ওয়ানড্রাইভের মতো অ্যাপগুলো ছবি ব্যাকআপের জন্য আদর্শ।

এই আর্টিকেলটি গুগল, ড্রপবক্স, পি-ক্লাউড, জি-ক্লাউড, এবং আরও অনেক ডাটা ব্যাকআপ অ্যাপের সুবিধার কথা তুলে ধরেছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে সহজেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন।

Related Posts

সঙ্গে থাকুন ➥